চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৯ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।জানা গেছে, আগের বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এটি ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফেব্রুয়ারিতে এত তৈরি পোশাক রপ্তানি হলো।
তৈরি পোশাক
তৈরি পোশাক খাতে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি
যুক্তরাজ্যের বাজারে সাড়ে ৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। আর মোট রপ্তানির ৯১ শতাংশই তৈরি পোশাক বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তৈরি পোশাক খাতের ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বৃদ্ধির হারে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক রপ্তানির চালানে চিনিগুঁড়া চাল ও বিরিয়ানির মসলা ও সেমাই পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পতেঙ্গার ওশেন কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি চালান শুল্কায়নের সময় ঘোষণা বহির্ভূত এসব পণ্য পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তৈরি পোশাক রপ্তানি ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ইউরোপীয় তৈরি পোশাক আমদানিকারকদের ন্যায্য মূল্যে মানসম্পন্ন পোশাক আমদানির জন্য বাংলাদেশই প্রথম পছন্দ।
তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের কারখানাগুলো সবুজ কারখানার মানদণ্ডে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত বাংলাদেশে এ ধরনের কারখানার সংখ্যা এখন ১৮৭টি।
বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।